ডিম ফুটানোর মেশিন-ইনকিউবেটর

ডিম ফোটাতে বাংলাদেশে আফিফা ইনকিউবেটরের অবদান

ডিম ফোটাতে বাংলাদেশে আফিফা ইনকিউবেটরের অবদান

ডিম ফোটাতে বাংলাদেশে আফিফা ইনকিউবেটরের অবদান

afifa incubator banner

আফিফা ইনকিউবেটর হলো একটি প্রযুক্তি শুরুকারী প্রতিষ্ঠান যা প্রাথমিকভাবে উদ্যোগী উদ্যোগের প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে সহযোগিতা ও সাপোর্ট প্রদান করে। এই ইনকিউবেটর সংস্থা উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সেবা ও সুযোগ প্রদান করে, যেমন ব্যবসায়িক পরামর্শ, অর্থনৈতিক সাহায্য, প্রযুক্তিগত সহায়তা, বাজার গবেষণা এবং উৎসাহমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করে।

আফিফা ইনকিউবেটর সামগ্রিকভাবে উদ্যোগী উদ্যোগের প্রস্তুতি, উন্নয়ন এবং সাফল্যের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠান করে, যেমন কোর্স, শৃঙ্খলা, ওয়ার্কশপ, হ্যাকাথন ইত্যাদি। এছাড়াও, এই ইনকিউবেটর নেটওয়ার্কে উদ্যোক্তাদের মধ্যে সংযোগ ও সম্প্রীতি সৃষ্টি করে যাতে তারা একে অপরের সাথে অভিজ্ঞতা, শ্রেষ্ঠ প্রথাগত অভিজ্ঞতা এবং সম্পর্ক অর্জন করতে পারেন।

সমগ্রিকভাবে বলা যায় যে, আফিফা ইনকিউবেটর উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ গঠন, বাজার সংশোধন, পরিচালনা এবং অগ্রগতির সহায়তা করে যাতে তারা সাফল্যের পথে অগ্রসর হতে পারে।

বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার একটি দেশ। এ দেশে পৃথিবীর সকল নিয়ামত আল্লাহ যেন একসাথে দিয়েছেন। কি নেই এখানে? এক সময় সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই দেশ কালের বিবর্তনে আর বর্গীদের আক্রমন ও রাজনৈতিক সেচ্ছাচারিতায় তার চিরচেনা রুপকে যেন হারাতে বসেছিল। কিন্তু আল্লাহ যেন সকল কিছুতেই একটি ঘুর্নায়মান চক্র তৈরী করে রেখেছেন। দূঃখের পর সুখ  এই বিষয়টি যেন আমাদের বাংলার মানুষের ভাগ্যে লেখা আগেই । তাইতো এখন বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা  সকল বেকার যুবক আর মেহনতী মানুষের আওয়াজ বদলে দিচ্ছে কৃষির দিগন্তকে। যেখানেই এক টুকরো খালি জমি সেখানেই চাষাবাদ চলছে আথবা চলছে আমিষের উৎপাদন। সেই ধারাবাহিকতায় আফিফা ইনকিউবেটর তার ডিম ফোটানোর সামগীকে আধুনিকায়নের পথে একটি পালক যোগ করার প্রয়াশ পেয়েছে।

আফিফা ইনকিউবেটর এর অবস্থান – গাজীপুর জেলার প্রাণকেন্দ্র গাজীপুর চৌরাস্তার অতি সন্নিকটে শহিদ রওশন সড়কের সম্মুখভাগে পসরা সাজিয়ে বসেছ এই সকল কৃষি-হাতিয়ার আর তার খুচরা যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে। এখানে একজন সাধারন ‍উদ্দোক্তার জন্য রয়েছে তার জীবন ও জীবিকার পরিবর্তনের নানান উপকরন। যেগুলো ব্যবহার করে সে তার নিজের ও সমাজের অবয়ব পরিবর্তন করে দিতে পারে। সামাজিক আম্বমর্যাদা বৃদ্ধি সাথে সাথে আর্থিক প্রবৃদ্ধি দেশের জিডিপির উর্ধমুখী ধারাকে অব্যহত আর সুসংহত রাখে। আফিফা ইনকিুবেটর তৈরী করছে সকল ইনকিউবেটর সামগ্রী যা পূর্বে দেশের বাহির থেকে আমদানীর উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই সকল পন্য বাংলাদেশের আবহাওয়া ও ব্যবহার উপযোগীতার বিবেচনায় তৈরী হচ্ছে নিজস্ব দক্ষতায়। যার ফলশ্রুতিতে আমদানী নির্ভরশীলতা কমেছে, উৎপাদনের মাধ্যমে বেকারত্বের হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। পন্যের মূল্য কমেছে অর্ধেকেরও কম আর বিক্রয়োত্তর সেবার মাধ্যমে সাধারন ভোক্তাদের ব্যবহার হয়েছে নির্বিঘ্ন।

আফিফা ইনকিউবেটর বর্তমানে তাদের সরাসরি ডিম ফোটানোর জন্য যে সকল ইনকিউবেটর তৈরী ও সরবরাহ করছে সেগুলো হচ্ছে;

প্লাষ্টিক বক্স ব্যবহার করে ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক ইনকিউবেটর-

* ম্যানুয়াল ইনকিউবেটর– এই ধরনের ইনকিউবেটরগুলোতে সাধারন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে শুধু মাত্র তাপমাত্রার সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে বৈজ্ঞানিক নিয়মকে অনুসরন করে। এত করে ৪০, ৬০, ৮০ ও ১০০ ডিম ফোটানোর উপযোগী করে তৈরী করা হয়েছে এদের। আর এ গুলোকে যে কোন পরিবেশে পরিবহন ও ব্যবহারের জন্য সরাসরি বৈদ্যুতিক ব্যবহার ও ব্যটারী চালিত উভয় বিষয়ের সমন্বয় করা হয়েছে। যাতে করে যে কোন প্রকার স্বল্প ও দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার আশু সমাধানে সাহায্য করবে ইনশাআল্লাহ। এতে করে দারিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ব্যপক চাঞ্চল্য তৈরী হয়েছে। তারা নিজেদের পরিবারের চাহিদা ও আত্মউন্নয়নে নিজেরাই তৈরী করছে বিভিন্ন চমৎকার সব খামার আর পশু পালনের পদ্ধতি। এতে করে ব্যাপক বিকাশ ঘটতে চলেছে বিজ্ঞান ভিত্তিক উৎপাদনের। সহজেই তারা ফোটাতে পারছে হাস মুরগীর বাচ্চা আর তা নির্বিঘ্নে যে কোন প্রতিকুলতার মাঝেই প্রতিপালন করছে।

* অটোমেটিক ইনকিউবেটর- এই ধরনের ইনকিউবেটরগুলো ব্যবহার করছেন যাদের হাতে সময় একটু কম। আর যারা কোন না কোন উৎপাদনমুখী কাজ কর্ম ও সমাজের উন্নয়নের কোন না কোন অংশে ভুমিকা রাখছেন তারাই। তাদের নিজ হাতে যে কাজ গুলো করতে হয় তাতে তাদের সময়মত ডিম ঘোরানোর যে অবসর তা না পাওয়ায় এবং বাহিরে অবস্থান করে কাজ করার পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে নিজের পরিবার ও সমাজে চাহিদা পুরনে এই ইনকিউবেটরের জুড়ি নেই। এগুলো মানে বেশ ভাল আর ব্যবহারে অত্যন্ত সুবিধাজন হওয়ায় যে কেউই এই ইনকিউবেটরগুলো ব্যবহার করতে পারবে। ফলে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যারা নিজেদের এগিয়ে রাখেন তারাই এই ইনকিউবেটরটি ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দ অনুভব করেন। এতে নেই কোন প্রকার ঝামেলা। একই সাথে সরাসরি বিদ্যুৎ ও ব্যাটারী দিয়ে চালানোর সুযোগ থাকায় দেশের সর্বস্তরে এ চাহিদা বাড়ছে দিনদিন।

বোর্ডের তৈরী অটোমেটিক ইনকিউবেটর

দীর্ঘস্থায়ী ও কাজে দৃড় একটি ইনকিউবেটর হতে পারে বোর্ড দিয়ে তৈরী এ সকল সম্পুর্ন অটো ইনকিউবেটর। এ সকল ইনকিউবেটর ব্যবহারে ঝুকি নেই কোন প্রকার । সহজেই শুধুমাত্র বিদ্যুতের সাথে সংযোগ প্রদান করলেই যথেষ্ট। বাছাই করা ডিম সঠিক ভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষন করে তা একত্রে বসিয়ে দিতে হবে ডিমের সুচালো মাথাটি নিজের দিকে রেখে। তাতে করে ডিমগুলো নির্ধারীত বিরতীতে মেশিনের ভেতরেই প্রতিবার ডান থেকে বামে ও বাম থেকে ডানে ঘুরবে একাই। নেই কোন হাতদিয়ে ঘোরানোর প্রয়োজন। নির্ধারীত সময়ের পর পরই ডিমগুলোকে স্যাটার হতে হ্যাচারে নামিয়ে দিতে হবে এবং প্রয়োজন মত পরিচর্যা করতে হবে সঠিক ফলাফলের জন্য। যে কোন পরিবেশে অতিরিক্ত তাপ বা ঠান্ডা মোকাবেলার বিশেষ সক্ষমতা রয়েছে এই মেশিনের। তাপ ধরে রাখার বিশেষ গুনের জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় অল্প খরচের বডি তৈরী হওয়ায়। দামে সাশ্রয়ী বলে চাহিদাও যথেষ্ট বেশি। আর ওজনে ভারি ও দৃষ্টিনন্দন বলে অনেকরই ভিষন পছন্দ এই ইনকিউবেটরগুলো। নেই কোন তাপমাত্রা, আদ্রতা ও ডিম ঘোরানোর প্রয়োজন।

ষ্টিলের তৈরী অটোমেটিক ইনকিউবেটর-

জাপানি শিটের তৈরী দুই স্তরের মাঝে একটি তাপনিরোধী ও বায়ু রোধী ককশীটের কারনে এ ধরনের ইনকিউবেটর যেমন ওজনে হালকা আবার মরিচা প্রতিরোধী। ইচ্ছামত পরিষ্কার করা ও যে কোন স্থানে রাখার মত একটি মেশিন হচ্ছে এই ডিম ফোটানোর ইনকিউবেটরটি। এর বাহিরের দৃষ্টিনন্দন অবয়ব আর দীর্ঘস্থায়ীত্ব এই ইনকিউবেটরটিকে সর্বজন স্বীকৃত করে তুলেছে। সাবধানতার সাথে তৈরী হওয়ায় এর থেকে বিদ্যুৎতাড়িত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। বাহিরে ও ভিতরে তাপমাত্রার কোন প্রকার পার্থক্য না হওয়ায় পরিবেশে তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য ভেতরের তাপের কোন পার্থক্য হয় না বল্লেই চলে। উন্নত বিশ্বের যে কোন ইনকিউবেটরের চাইতে এর ব্যবহার সহজ ও ঝামেলা মুক্ত। যে কোন ছোটখাট সমস্যা ব্যবহারকারী নিজেই সাথে সাথে সমাধান করতে পারেন। আর যদি কোন বড় সমস্যা হয় তবে আফিফা ইনকিউবেটর তা গুরুত্বের সাথে সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহন করে। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার জন্য যোগাযোগে ভিডিও কন্ফারেন্সিং এর সহায়তায় দেশের যে কোন প্রান্তে বসেই সেবাটি পেতে পারেন সাথে সাথেই। তাই বড় কোন দুর্ঘটনার নেই কোন অবকাশ। এ ধরনের মেশিনগুলো ক্রেতা ও ব্যবহারকারীর চাহিদার ভিত্তিতে ২০০ থেকে ৫০০০০ ডিমের ধারন ক্ষমতা স্মপন্ন করে তৈরী করা ও সরবরাহ করা হয় । যা ৫০০০ পর্যন্ত আফিফার কারখানা থেকে তৈরী করে সরাসরি প্রদান করা হয়। আর এর চাইতে বড় হলে তার ব্যপারের ব্যবহারকারীর চাহিদাকে মাথায় রেখে কারখানায় উৎপাদনের পর তা ভোক্তার ব্যবহার স্থলে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের দ্বারা স্থাপন ও তার বিস্তারীত হাতে কলমে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

 

খুচরা যন্ত্রাংশ বিক্রয় ও প্রশিক্ষন

আফিফা ইনকিউবেটর যে সকল পন্য গুলো তার সংরক্ষনে রেখেছে, সেগুলো হল;

তাপমাত্রা কন্ট্রোলার- W1209, XH W3001 AC, XH W3002 AC, XH W3001 DC, XH W3002 DC, XH W3005 AC, STC 1000 AC, STC 1000 DC, STC 3028, M452, XM18, XM18D, XM18E ইত্যাদি।

থার্মোমিটার- কাঠের স্কেল থার্মোমিটার, প্লাষ্টিকের স্কেল থার্মোমিটার, থার্মোমিটারসহ হিউমিডিমিটার, ডিজিটাল হাইগ্রোমিটার, STC1, STC2, STC2A ইত্যাদি।

মটর- টার্নিংএর জন্য গিয়ার মটর 6W, 14W, 18W, 24W, 28W, 40W ও লিমিট সুইচ  ইত্যাদি।

ইনভার্টার- 1000W, 2000W, 3000W, 4in 1 invirter charger, Solar invirter charger.

ব্যাটারী চার্জার- 10A Charger, 20A Charger, 30A Charger, Liton 12V adaptor, 12V 2A CC tv adaptor ইত্যাদি।

ডিবেকার/ ঠোট কাটার মেশিন- চায়না ঠোটকাটার মেশিন, ভেটফার্মার V1, V2, V3, V4 ডিবেকার।

গ্যাস ব্রুডার- চায়না গ্যাস ব্রুডার, ভ্যাটফার্মার গ্যাস ব্রুডার, বাংলাদেশী নন ব্র্যান্ড গ্যাস ব্রুডার।

হিউমিডিফায়ার- মিনি USB হিউমিডিফায়ার, প্লাষ্টিকের 16mm হিউমিডিফায়ার, প্লাষ্টিকের 20mm হিউমিডিফায়ার, ষ্টিলের 16mm হিউমিডিফায়ার, ষ্টিলের 20mm হিউমিডিফায়ার।

ডিমের ট্রে- ১০১ ডিমের স্যাটার ট্রে, ৮৮ ডিমের স্যাটার ট্রে, ৯৯ ডিমের কোয়েল স্যাটার ট্রে, ৫৬ ডিমের রাজ হাসের স্যাটার ট্রে, ১০০ ডিমের হ্যাচার ট্রে, ২০০ ডিমের হ্যাচার ট্রে ইত্যাদি।

ইনকিউবেটর- ৪০ ডিমের প্লাষ্টিক ইনকিউবেটর, ৬০ ডিমের প্লাষ্টিক ইনকিউবেটর, ৮০ ডিমের প্লাষ্টিক ইনকিউবেটর, ১০০ ডিমের প্লাষ্টিক ইনকিউবেটর, ৭০ ডিমের প্লাষ্টিক অটো ইনকিউবেটর, ৮৮ ডিমের প্লাষ্টিক অটো ইনকিউবেটর, ২০০-৫০০০ ডিমের বোর্ডের অটো ইনকিউবেটর, ৩০০-৫০০০ ডিমের ষ্টিলের অটো ইনকিউবেটর, চায়না ৫৬ ডিমের ইনকিউবেটর, চায়না ১১২ ডিমের ইনকিউবেটর, চায়না ১৯৬ ডিমের ইনকিউবেটর, চায়না ২২৪ ডিমের ইনকিউবেটর ইত্যাদি।

কৃষি যন্ত্রাংশ- ধান কাটার যন্ত্র, খড় কাটার যন্ত্র, ধান থেকে চাল  বা আটা করার যন্ত্র, মুরগী ও গোখাদ্য তৈরীর যন্ত্র, মুরগী ও গোখাদ্য পিলেট(দানাদার) তৈরীর যন্ত্র ইত্যাদি।

আইপিএস/ইউপিএস- মাইক্রোটেক, লুমিনাস, গ্রোওয়াট, সানপাওয়ার ইত্যাদি ব্র্যান্ডের আইপিএস ও ইউপিএস।

বিভিন্ন প্রকার মনো ও পলি সোলার প্যানেল।

বিভিন্ন প্রকার পোল্ট্রি সামগ্রী- ভ্যাকসিন দেয়ার ইনজেকশন সেট, বিভিন্ন প্রকার নিপল ড্রিংকার, বিভিন্ন প্রকার বেল ড্রিংকার, বাগানে ও চালে পানির ফোয়ারা সৃষ্টির ফাউন্টার নজল, পোলট্রি বাল্ব যেমন ইনফ্রারেড বাল্ব ও সিরামিক হিটর বাল্ব এবং সনাতন হারিকেন ইত্যাদি।

নতুন আবিষ্কার

আফিফা ইনকিউবেটর তার গাজীপুরস্থ শোরুম/বিক্রয়কেন্দ্র হতে সকল প্রকার ইনকিউবেটর সরঞ্জাম বিক্রয় ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছে। যার কারনে হাতে কলমে নিজেই যে কোন খুচরা পন্য ক্রয় করে ব্যবহারকারী তার মেধাকে খাটিয়ে তৈরী করতে সক্ষম সকল প্রকার ডিম ফোটানো ও তার পরবর্তি সমস্যা সমাধানের উপায়গুলোকে। সাধারন একটি ডাব্লিউ ১২০৯ সার্কিটের ব্যবহার আজ সারা বাংলাদেশে ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে সাধারন একটি সার্কিটের সাহায়ে বিজ্ঞান মনস্ক আবিষ্কারী মননের সাহায্যে নতুন নতুন আবিষ্কার সকলকে করছে হতবাক। আমাদের দৈনন্দিন জীবন হচ্ছে আরও রঙ্গিন।এছাড়া ডাব্লিউ ৩০০১/৩০০২  মডেলের সার্কিটের সাহায্যে সরাসরি তাপ নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার মাধ্যমে খামারের আধুনিক ব্যবস্থার কারনে রোগ জীবানুর প্রদুর্ভাব কমেছে বহুগুনে।

সয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় খামার পরিচালনা

এছাড়া সয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে খামার পরিচালনার কারনে পরিশ্রম ও খরচ দুইই কমেছে। সাথে সাথে রোগের বিস্তার প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা পালনে সহজ  হয়েছে। পানির নিপল ড্রিংকার ও বেল ড্রিংকারের মাধ্যমে খামারে এসেছে আধুনিকতা ফলে লোকবল ও পানি দ্বারা সৃষ্ট রোগ জীবানুকে সামাল দেয়া হয়েছে সহজ। এতে  করে পানির অপপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে। সাথে সাথে অতিরিক্ত পানি ও তার দ্বারা সৃষ্ট লিটারের যে সকল সমস্যা তা দুরিভুত হয়েছে। ফলে নেই কোন এমোনিয়া জনিত দুর্ঘটনার আশঙ্কা। সুস্থ্য পরিবেশে ও শুষ্ক স্থানের কারনে উৎপাদনের হার বেড়েছে এবং মানবসৃষ্ট সমস্যার প্রতিকার হয়েছে। এতে শ্রমিকের স্বাস্থ্য ঝুকি এড়িয়ে তার জন্য স্বাস্থ্যকার কাজের পরিবেশ হয়েছে।

প্লাষ্টিকের ব্যবহার

দেশের প্লাষ্টিকের ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আর তার রিসাইক্লিং হচ্ছে তুলনামুলক কম। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রিসাইকেল করা অত্যন্ত ভালমানে প্লাষ্টিকের পন্য বিশেষকরে ডিম ফোটানোর জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ট্রে, হ্যাচার ট্রে, পানির পাত্র, খাবার পাত্র ও অন্যান্য সামগ্রী বিপননের কারনে সকলের মাঝে তৈরী হয়েছে সচেতনতার । দেশের পরিবেশের প্রতি নজর দেয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে। হাইড্রোপনিক পদ্ধতির জন্য ব্যবহৃত প্লাষ্টিকের ট্রে বিশেষভাবে সমাদৃত। গবাদীপশু ও পাখির জন্য হাইড্রোপনিক পদ্ধতি যেন একটি আশির্বাদ। এর সাহায্যে অতি অল্প স্থানে স্বাস্থ্যকার কচি ঘাসের অবাধ উৎপাদন করে তার চাহিদা পুরন করা সম্ভব। আর আমাদের পরিবেশে এর মাধ্যমে কৃমির বিস্থার রোধ করে সুস্থ্য সবল আমিষের অভাব পুরনে একধাপ এগিয়ে যেতে আমরা আরও সচেষ্ট হব।

নবায়নযোগ্য জ্বালানী

আফিফা ইনকিউবেটর তার নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও ব্যবহার শির্ষক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর সাহায্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবহারকারীগন তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনের বিষযগুলোকে নিজউদ্দ্যোগে নিজেদের জন্য উৎপাদন ও ব্যবহার শিখছে। সোলার বা সৌর শক্তি তাদেরই একটি অংশ। এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সোলার প্যানেল ও তা হতে প্রাপ্ত বিদ্যুৎকে সঞ্চিত রেখে প্রয়োজনে তা ব্যবহার করা আমাদের বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারের দাবি রাখে। আমরা সেই বিষযটিকে মাথায় রেখে ইনকিউবেটর ব্যবহারকারীদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবহারের জন্য সোলার তথা সৌর শক্তির ব্যবহা নিশ্চিত করছি। আমরা সৌর প্যানেল ও তার কন্ট্রোলারগুলোর সংরক্ষন ও বিপননের ব্যবস্থা করছি। যা দ্বারা সরাসরি চাইলে এসি বিদ্যুতে পরিবর্তিত করে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনভার্টার এর সহযোগীতা রেখেছি।আমাদের প্রতিনিয়তই শিক্ষমুলক ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা প্রচার করা হচ্ছে সকলকে এই বিষয়ে সহজাত ধারনা ও অধিকতর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরার জন্য। এতে করে সাধারন ব্যবহারকারীগন সহজেই উপকৃত হচ্ছেন  এবং তারা তাদের আশে পাশের সুবিধাভোগীদের মাঝেও সমান ভাবে প্রচারে সচেষ্ট হচ্ছেন যা জীবন মানকে উন্নত করছে। একই সাথে সরকারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের উৎপাদন ও সামাজিকতার বন্ধন সুদৃড় করার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

আধুনিক লাকড়ির ডিজিটাল চুলা

আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন স্থান দখল করে আছে আমাদের খাদ্য। এই খাদ্য প্রস্তুতে আমরা আগুনের উপর সবচেয়ে নির্ভরশীল। তাই এই আগুনের উৎস হিসাবে আমরা বর্তমানে গ্যাসের উপর নির্ভরশীল সর্বাগ্রে। কিন্তু আমাদের এই প্রাকৃতিক সম্পদের রয়েছে সীমিত মজুদ। যার কারনে আমরা যে কোন মুহুর্তেই এর অভাবে পরতে পারি মহা বিপদে। এর বিকল্প খুঁজতে বিদ্যুতের উপরে চাপ বাড়ে বহুগুন, যার খরচ আমরাদের সাধারনের নাগালের বাহিরে। আর তাই সারা বাংলাদেশ যখন সঠিক বিকল্পকে খুজতে ব্যস্ত ঠিক তখনই আফিফা ইনকিউবেটর আধুনিক লাকড়ির ডিজিটাল চুলার সূচনা করেছে। যার মাধ্যমে আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা ফেলনা কাঠ আর গাছ গাছালির ডালপালাই হতে পারে চমৎকার সমাধান। এর সাহায্যে মাত্র সামান্য শুকনো কাঠেই হয়ে যাবে একটি পরিবারের সকলের রান্নাবান্ন। যে উৎসের নেই কোন অপ্রতুলতা। আমাদের উৎভাবিত চুলার বিশেষ বৈশিষ্ঠ হল এ থেকে কোন কালি বা ধোয়া তৈরী হবে না যদি আপনি শুকনো কাঠ ব্যবহার করেন। আর রান্নার শুরুতে কোন প্রকার দ্বাহ্য তেল ব্যবহার না করে আমাদের প্রতিদিনের ফেলে দেয়া পলিথিনগুলোকে ব্যবহার করলেই চলবে। একবারে নিরাপদ ও সম্পুর্ন রুপে লাকড়িকে পুড়িয়ে সরাসরি ছাই তে পরিনত করায় কার্বন নিঃসরনের মাত্রা একেবারে শুন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য একটি প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করা হয়েছে। যা বিদ্যুৎ থাকলেও ব্যবহার করা যাবে এবং বিদ্যুৎ না থাকলেও ব্যবহার করা সহজ। ব্যবহার করা যাবে যে কোন স্থানে সেট হতে পারে এপার্টমেন্টের ভেতরে রান্নাঘরে অথরা উন্মুক্ত খোলা প্রান্তরে। যে সুবিধা অন্য কোন ভাবেই প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রচুর ধোয় আর কালি হয় ফলে রান্নায় আনে বিরক্ত ভাব ও পরিহার করার বাসনা। পাশাপাশি কয়লা অবশিষ্ট থাকায় তা অপচয়ের কারন। ডিজিটাল চুলায় রান্নার পর অবশিষ্ট ছাই ব্যবহার করা যেতে পারে সর্বোচ্চ মানের দাতের পরিষ্কারক পাউডার হিসাবে যা আধুনিক বিজ্ঞান শেষপর্যন্ত বিভিন্ন গবেষনায় প্রকাশ করছে। আর তা ছাড়া ডিটার্জেন্ট বা ডিসওয়াস প্রোডাক্টের সেরা বিকল্প হচ্ছে এই ছাই যা আমাদের পরিবেশবান্ধবতো বটেই পাশাপাশি সাশ্রয় করবে অর্থের।

বিনা খরচে প্রশিক্ষন

আফিফা ইনকিউবেটর তার অগ্রযাত্রায় সর্বক্ষনিক সহযাত্রি হিসাবে সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। এ কারনেই ইনহাউজ ও অনলাইন দুধরনের ট্রেনিং পদ্ধতিকেই অনুসরন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিটি বিষয়ে খোলামেলা এই বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষন প্রচার করা হচ্ছে। যারা সরাসরি শিখতে আগ্রহী তাদের কারখানায় বিনা খরচে প্রশিক্ষন ও সেলস সেন্টারে বিক্রয় প্রশিক্ষন সুবিধা রয়েছে। এতে স্বাবলম্বি হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার বেশ বড় সুযোগ নিয়ে অনেকেই আজ উদ্দোক্তা হয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ গঠন করেছেন এবং করছেন। এমন সুবর্ণ সুযোগ বাংলাদেশে নেই বল্লেই চলে।

ইকামর্সের যুগে নতুন কিছুকে মানুষের সাথে পরিচয় ঘটিয়ে তা সবার দ্বারে পৌছে দেয়ার দুঃসাধ্য কাজটি নির্বিঘ্নে করে দেখিয়ে সবাইকে আত্মপ্রত্যয়ি হবার প্রতি জোর তাকিদ আফিফা ইনকিউবেটরের। তাইতো স্বল্প সময়ে আধুনিক ব্যবহার রপ্ত করে তা থেকে সুফল পেতে ও সকলকে তার সুফল এনে দিতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে। প্রত্যেকের চারপাশে যে উপকরন মানুষের কাজে লাগে তা নির্দিধায় তুলে ধরতে হবে। তবেই না আসবে সফলতা । আফিফা ইনকিউবেটর তার এই যাত্রায় পুজির শুষ্ঠ বিনিয়োগ কিভাবে করতে হবে এবং তার ফলাফল কিভাবে পেতে হবে তা তুলে ধরেছে আজকের এই প্রবন্ধে। আশা করি এই প্রবন্ধের প্রতিটি বিষয়ে আপনার জ্ঞান ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে যদি আপনারও উদ্দোক্তা হবার স্বপ্ন থাকে। তাই ঘরে না বসে থেকে বেরিয়ে পরুন, আপনার শিক্ষাকে মানব কল্যানে কাজে লাগান আর খুজে নিন আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করার সেই সঠিক পথকে। আপনাদের পাশে থাকার প্রত্যয় আফিফা ইনকিউবেটরের চিরকালের। যে কোন বিষয়ে সরাসরি বা ইমেইলে জানতে চাইলে যোগাযোগ করুন।আপনাদের মঙ্গল কামনায় –

আফিফা ইনকিউবেটর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *